থোড়াই কেয়ার পুলিশ, ক্যামেরা! কালীঘাটে গোয়েন্দারই পকেটমার - ঝিকরগাছাবাজার পত্রিকা
বিঃ দ্রঃ ভাষার মাস উপলক্ষে ঝিকরগাছা বাজার পত্রিকায় সবধরণের বিজ্ঞাপন ফ্রি করা হয়েছে

এই মাত্র পাওয়া

Post Top Ad

Your Ad Spot

বৃহস্পতিবার, ৩ জানুয়ারি, ২০১৯

থোড়াই কেয়ার পুলিশ, ক্যামেরা! কালীঘাটে গোয়েন্দারই পকেটমার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ক’দিন আগেই চলন্ত বাসে ছ’লাখ টাকা খুইয়েছিলেন সঞ্জয় কুমার সিংহ নামে এক ব্যবসায়ী। ১২ ডিসেম্বর টি বোর্ডের সামনে থেকে উঠেছিলেন ২০৫ রুটের একটি বেসরকারি বাসে। ময়দানে নেমে দেখেন তাঁর হাতের ব্যাগে নিপুণ হাতে কেউ ব্লেড চালিয়ে দিয়েছে। আর লোপাট হয়ে গিয়েছে ব্যাগের টাকা।
শীত পড়তেই শহর জুড়ে কলকাতা শহরের দক্ষ পকেটমারদের মরসুম শুরু হয়ে গিয়েছে। তারা এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে খোদ পুলিশকেও রেয়াত করে না। বছরের প্রথম দিনেই পকেটমারদের হাতে নিজের পার্স খোয়ালেন কলকাতা পুলিশেরই এক অফিসার।
রঞ্জন চক্রবর্তী নামে কলকাতা পুলিশের গোয়্ন্দা বিভাগের ওই সাব ইন্সপেক্টর পয়লা জানুয়ারি ছিলেন কালীঘাট মন্দির চত্বরে। সূত্রের খবর, মন্দিরের ভিতরেও ঢুকেছিলেন তিনি। হঠাৎই সাড়ে বারোটা নাগাদ তিনি খেয়াল করেন তার ট্রাউজার্সের পেছনের পকেট থেকে গায়েব তাঁর পার্স। আশপাশে খোঁজাখুঁজি করে যখন পেলেন না তখন মন্দির চত্বরের লোকজনই তাঁকে বলেন যে নিশ্চয়ই পকেটমারের কীর্তি। খুঁজে লাভ নেই। ওই দিনই তিনি কালীঘাট থানাতে অভিযোগ জানিয়েছেন। কালীঘাট মন্দিরচত্বরে নিরাপত্তার জন্য বসানো আছে অনেকগুলো সিসি ক্যামেরা। কিন্তু মন্দির চত্বরে থাকা ব্যবসায়ীদের অভিজ্ঞতা, ও সবকে আদৌ পরোয়া করে না এই পকেটমারেরা। সিসি ক্যামেরা ফাঁকি দিয়েই নিপুণ হাতে কাজ সারছে তারা। মন্দিরের বাইরে ফুলের ডালার এক ব্যবসায়ী বলেন,“ প্রতিদিনই কম করে তিন-চার জন শিকার হয় পকেটমারদের। মন্দিরে আসা ভক্তদের বড় অংশই ভিন রাজ্যের বাসিন্দা। তাই অনেকেই পুলিশে অভিযোগ জানানোর ঝামেলায় যেতে চাননা।”

Post Top Ad

Your Ad Spot