*#০৬# ডায়াল করেই জেনে নেওয়া যায় মোবাইল ফোনে ব্যবহৃত ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর আছে কি নেই। গ্রাহক জানতে পারবেন তার মোবাইল ফোনের আইএমইআই নম্বরটি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ডেটাবেজে আছে কি নেই? এর জন্যে গ্রাহককে তার ম্যাসেজ অপশনে গিয়ে ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বরটি এমএমএস করে সেন্ড করতে হবে ১৬০০২ নম্বরে। ফিরতি এসএমএস-এ গ্রাহক তার ফোনটি বৈধ না অবৈধ সেই তথ্য পেয়ে যাবে বিটিআরসির কাছ থেকে।
আর বৈধভাবে বা অবৈধভাবে যে কোনো পদ্ধতিতে দেশে আসুক না কেনো আগামী কয়েক মাসে যে সব আইএমইআই এই ডেটাবেজে ঢুকবে সেগুলো বাতিল না হওয়া পর্যন্ত কাজ করবে। বৈধভাবে আমদানি না করা আইএমইআই থাকা ফোনগুলো যেকোন সিম কার্ডেই চালবে তবে অবৈধভাবে আমদানি না করা আইএমইআই থাকা ফোনগুলো কেবল এখন যে সিমের সঙ্গে ব্যবহার হচ্ছে অকেজো না হওয়া পর্যন্ত সেই সিমেই কেবল হ্যান্ডসেটটি চলবে।
সম্প্রতি মোবাইল ইম্পোটার্স অ্যাসোশিয়েশনের পক্ষ থেকে বিটিআরসিতে স্থাপন করা হয়েছে আইএমইআই সংক্রান্ত একটি ডেটাবেজ। সেখানে মোবাইল ফোন অপারেটরদের আমদানী করা সকল ফোনের আইএমইআই সংক্রান্ত তথ্য রাখা আছে। একই সঙ্গে মোবাইল ফোন অপারেটদের নেটওয়ার্কে থাকা আইএমইআই-ও রাখা হচ্ছে সেখানে।
সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, এখন সিমের সঙ্গে আইএমইআই-এর নিবন্ধনও যুক্ত হবে। আর আগে যেহেতু জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে সিম নিবন্ধন হয়েছে তখন আইএমইআই, সিম এবং জাতীয় পরিচয়পত্র তিনটি দিয়ে গ্রাহকের পরিচয় নিশ্চিত করা যাবে।
বলা হচ্ছে, এখন বছরে প্রায় সাড়ে তিন কোটি হ্যান্ডসেট আমদানি হয়। এর বাইরে আরও অন্তত এক কোটি হ্যান্ডসেট আসে অবৈধ পথে যেগুলো থেকে সরকার কোনো ট্যাক্স পায় না বা নিরাপত্তার দিক দিয়েও সেখানেও সমস্যা থেকে যায়।
বিটিআরসি’র কার্যালয়ে স্থাপন করা হয়েছে এই ডেটাবেজ। আগামী কয়েক মাস চলবে এ সংক্রান্ত কার্যক্রম। এর মধ্যে কয়েক মাস যে সব নতুন হ্যান্ডসেট বৈধভাবে আমদানি করা হবে সেগুলোই ডেটাবেজে ঢুকবে। বাকি কোনো আইএমইআই-এর আর কাজ করবে না।