ঢাকার চকবাজার ট্রাজেডির মৃত্যুপুরী সেই হাজী ওয়াহেদ ম্যানশন নিয়ে জানা গেল নতুন তথ্য - ঝিকরগাছাবাজার পত্রিকা
বিঃ দ্রঃ ভাষার মাস উপলক্ষে ঝিকরগাছা বাজার পত্রিকায় সবধরণের বিজ্ঞাপন ফ্রি করা হয়েছে

এই মাত্র পাওয়া

Post Top Ad

Your Ad Spot

বৃহস্পতিবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

ঢাকার চকবাজার ট্রাজেডির মৃত্যুপুরী সেই হাজী ওয়াহেদ ম্যানশন নিয়ে জানা গেল নতুন তথ্য

ঝিকরগাছাবাজার পত্রিকা ডেস্ক :


যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রসাধনী ব্র্যান্ড নাম ‘ক্লেরিস’। শিকাগো শহরের গ্রেসেক ইলিনয়সভিত্তিক এ কোম্পানির অন্যতম পণ্য ডেইলি বেবি লোশন। যা উৎপাদন হয় থাইল্যান্ডে। 

বাংলাদেশের কোথাও এমনকি ভারতেও নেই প্রতিষ্ঠানটির কোনো কারখানা। কিন্তু চকবাজার চুড়িহাট্টার মৃত্যুপুরী সেই হাজী ওয়াহেদ ম্যানশনে ক্লেরিসের লোগো হুবহু নকল করেই তৈরি হতো ডেইলি বেবি লোশন।

একইভাবে দুবাইয়ের ‘স্টারলিং’ ব্র্যান্ডের নকল পারফিউমও তৈরি হতো ওই ভবনে। চারতলা এই ভবনে থাকা বডি ¯েপ্রর হাজার হাজার বোতলে থাকা দাহ্য পদার্থের কারণেই বুধবার রাতে নিমিষেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিএসটিআইসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উদাসীনতার কারণেই বছরের পর বছর ধরে চকবাজারসহ আশপাশের এলাকায় এসব নকল প্রসাধনসামগ্রীর কারখানা গড়ে উঠেছে। এ কারখানাগুলোয় বডি ¯েপ্র ছাড়াও অনেক ঝুঁকিপূর্ণ রাসায়নিক থাকে, যা মারাত্মক দাহ্য।সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, আগুনের পর হাজী ওয়াহেদ ম্যানশনের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলায় এখন স্তূপ হয়ে জমে আছে এসব নকল পারফিউম ও লোশনের বোতল। যার সবই পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার কার্যক্রমের কারণে অনেক বোতল আবার পড়ে আছে সামনের রাস্তায়ও। এসব বোতলে একটু চোখ বুলালেই দেখা যাবে বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের হুবহু সিল।
এ বিষয়ে কনজ্যুমার অ্যাসোশিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) প্রেসিডেন্ট গোলাম রহমান বলেন, পুরান ঢাকায় অন্তত ৫০ বছর ধরে ঝুঁকিপূর্ণভাবে রাসায়নিক বা দাহ্য পদার্থের গোডাউন ও কারখানা রয়েছে। সরকারের উদ্যোগসহ আমরা সেগুলো সরিয়ে নিতে বললেও
ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদের মুখে তা হয়নি। পাশাপাশি বিখ্যাত ব্র্যান্ডের নকল পণ্য উৎপাদনের পেছনে যাদের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা তারা ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছেন না। ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকার পরও এটা হওয়ার কথা নয়।

Post Top Ad

Your Ad Spot